Skip to main content

আইনের খাতা পরীক্ষার্থীদের 'লাভ স্টোরি'তে ভরা!

সবাই আইনের ছাত্র। বাবা-মার আশা ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে আইনজীবী হবে। কিন্তু পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীরা যা করলেন তাতে বাবা-মার মান সন্মান তো নষ্ট হয়েছেই একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের কথা চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর এবেলার।
 
পরীক্ষার্থীরা খাতায় আইনের বিষয় না লিখে 'লাভ স্টোরি' লিখে খাতা পূর্ণ করেছেন। এমন ঘটনা ঘটেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বালুরঘাট আইন কলেজে।
 
কলেজের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের ফল প্রকাশ হয়েছে গত ২৪ জানুয়ারি। দ্বিতীয় সেমিস্টারে ১৮১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ২৫ জন।
 
দ্বিতীয় সেমিস্টারে আরও বেহাল অবস্থা। ৭২ জনের মধ্যে মাত্র একজন পাস করেছেন। পরীক্ষায় খারাপ ফল নিয়ে গত কয়েকদিন বালুরঘাট আইন কলেজে বিক্ষোভ দেখানো, কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করেছে পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত হাঁটে হাঁড়ি ভেঙেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখা পড়ুয়ারা খাতায় যা লিখেছে, তা দেখে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

 
পরীক্ষার্থীরা খাতার কোনো অংশ ফাঁকা রেখে আসেননি। খাতা ভর্তি লেখা। তবে অনেক খাতাতেই আইনের কোনো বিষয়ই লেখা নেই। কোথাও পরীক্ষার্থীরা নিজেদের প্রেমিকাকে নিয়ে বিরহযন্ত্রণা তুলে ধরেছে, কোথাও আবার খাতার শেষে ‘ছোট ভাই’ হিসেবে পাস করিয়ে দেয়ার আবদার জানানো হয়েছে!
 
হিন্দি গানের কলি, অশ্লীল ভাষার ব্যবহার— বাদ যায়নি কিছুই। বেপরোয়া হয়ে একজন তো ‘আই মিস ইউ বেবি’-ও লিখে ফেলেছে।    
 
একাধিক খাতায় এমন লেখা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন পরীক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন পরীক্ষকরা। ফলে, অনেক পরীক্ষার্থীই শূন্য পেয়েছে।
 
পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০ হলেও চার নম্বরের গ্রেস  দিয়েও অনেককেই পাস করানো যায়নি।
 
যে পরীক্ষার্থীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের কথা চিন্তাভাবনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর পাস না করে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল, ‘প্রেম পত্র’ খাতা সামনে আসতেই তারা উধাও!

Comments

Popular posts from this blog

প্রধানমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে নকল ৭৫২ আইডি বন্ধ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খোলা ৭৫২টি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ মোট ১৩৩২টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। গত কয়েকদিনে এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। এনটিএমসির দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত বছরের ১৯ আগস্ট দৈনিক যোগফলের সম্পাদক আসাদুল্লাহ বাদল একটি পর্যবেক্ষণ মূলক প্রতিবেদন লিখে প্রকাশ করেছিলেন যোগফলে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেক নেতাকর্মীরাও এসব নকল আইডিতে দেওয়া পোস্ট শেয়ার করতেন। এনটিএমসি জানিয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিলের উদ্দেশে দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংস্থার নামে ভুয়া আইডি ও পেজ খুলে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারবর্গের নামে ভুয়া আইডি/ পেজ খুলে মিথ্যা ও মানহানিকর প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশ ও বিদেশে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্নের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। ফেসবুকে গুজব ও অপপ্রচার রোধে ন্যাশনাল টেলিকমিউন...

কোন যাত্রীর বিমানে মাঝ-আকাশে মৃত্যু হলে কী করা হয় দেখুন?

প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? মাঝ-আকাশে মৃত্যু কারোরই কাঙ্ক্ষিত নয়। কিন্তু সেই ঝুলন্ত প্রবাসে দৈবের বশে যদি কারো জীবতারা খসে পড়ে, তার জন্য তাঁকে তো আর দোষ দেওয়া যাবে না! প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? কী পদক্ষেপ করেন বিমান কর্মীরা? বেশ কিছু বিমানের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে একটা দেহ তার কোনও এক জায়গায় শুইয়ে রাখা যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমানটি অবতরণ করছে, ততক্ষণ এভাবেই রেখে দেওয়া হয় মৃতদেহ। এই ব্যাপারটা সহযাত্রীদের কাছে মোটেই সহনীয় নয়। তাই বেশ কিছু বিমান  ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের বেশ কিছু বিমানে শবদেহ রাখার জন্য বিশেষ লকারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অন্য বিমানে যতটা পারা যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখা হয় মৃতদেহকে। কিন্তু মাঝ-আকাশে বিমান কর্মীরা কী করেন কারোর আকস্মিক মৃত্যুতে? কেউ অসুস্থ হয়ে ...

কি হয় বাঁ হাতের তালু চুলকালে?

সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে। ডান হাতের তালু চুলকালে অর্থ আয় হয়। আর বাম হাতের তালু চুলকালে খরচ বাড়ে। তবে একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু এমন সংস্কারের পিছনে কি আদৌ কোনও যুক্তি কাজ করে? দেশীয় সংস্কার বলে, বাঁ হাত চুলকানোর অর্থ লক্ষ্মী ছেড়ে যাওয়া। এমন ক্ষেত্রে হঠাৎ অর্থনাশ, চুরি, ডাকাতি অথবা অন্য কোনও ক্ষেত্রে বিপুল খরচ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করে এই সংস্কার। আবার অন্যদিকে ডান হাত চুলকালে ধরে নেওয়া হয় লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা। হঠাৎ অর্থাগম, কোনও দূর আত্মীয়ের সূত্রে সম্পত্তিলাভ, নিজেরই লুকিয়ে রাখা এবং পরে ভুলে যাওয়া টাকা হাতে আসা ইত্যাদি যা খুশি ঘটতে পারে বলে মনে করা হয়।-ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। সংস্কার অনুসারে উপরের বক্তব্য কেবল পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। সেখানে ডান হাত চুলকালে অর্থহানি আর বাম হাতে অর্থলাভের কথা বলা হয়। কিন্তু একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র। এই মত অনুসারে, হাতের পাতা চুলকানোর অর্থ দেহে শক্তির সংবহন। বাঁ হাত আমাদের দেহের একটি অপ্রত্যক্ষ অঙ্গ। এক্ষেত্রে যদি অর্থব্যয় হয়, তা হলে তাক...