Skip to main content

ইতালীতে সিজনাল জব ভিসায় এ বছরও কালো তালিকায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশি অভিবাসীদের পলায়নপ্রবণতা এবং দালালচক্রের অপকর্মের খেসারত হিসেবে এ বছরও কৃষি, হোটেল ও পর্যটন খাতে সিজনাল ভিসায় বাংলাদেশের নাম কালো তালিকায় রেখেছে ইতালী সরকার। গত চার বছরের ধারাবাহিকতায় পঞ্চমবারের মতো এ কালো তালিকায় উঠলো বাংলাদেশের নাম। এ বছর মোট ১৭ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালী সরকার।



সূত্র বলছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিজনাল ভিসার গেজেট প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর আবেদনের বিস্তারিত নিয়ম জানা যাবে। যে সব দেশের এ ভিসায়  আবেদনের সুযোগ আছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, মিশর, মরিশাস, মালদোভিয়া, মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, মেসিডোনিয়া, সাবেক যুগোস্লাভ প্রজাতন্ত্র, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জাপান, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ভারত, কসোভো, মরক্কো, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তিউনেসিয়া এবং ইউক্রেন।

সিজনাল ভিসার নিয়ম অনুযায়ী এগ্রিকালচার ও হোটেল-ট্যুরিজম সেক্টরে কয়েক মাসের কাজের মৌসুম শেষে বিভিন্ন দেশের কর্মীদের যথাসময়ে ফিরে যেতে হয় যার যার দেশে। ইতালীর আইন মেনে যারা যথাসময়ে ফিরে যান তাদেরকে পরের বছর সসম্মানে আবার সিজনাল ভিসা দেওয়া হয় ইতালীতে প্রবেশের।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ হওয়ার আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত পাঁচ বছরে যে ১৮ হাজার বাংলাদেশি সিজনাল জব ভিসায় ইতালী আসেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৫০-৬০ জন যথাসময়ে বাংলাদেশে ফিরে যান।


ইতালীতে আসার পর কৃষিকাজ করবেন এমন শর্তে ওইসব বাংলাদেশিরা ঢাকা থেকে ভিসা নিলেও তাদের অধিকাংশই ইতালিতে এসে কর্মস্থলে রিপোর্টই করেননি। ওই ১৮ হাজার বাংলাদেশির মধ্যে আবার অনেকেই সিজনাল ভিসার মেয়াদ থাকতেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়ে আবেদন করে বসেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের। ইতালীকে তারা এক্ষেত্রে ব্যবহার করেন শুধুমাত্র ‘ট্রানজিট কান্ট্রি’ হিসেবে। যারা ইতালিতেই অবস্থান করেন তারাও একটা সময় অবৈধ অভিবাসীর তালিকায় নাম লেখান।

রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস এই সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক বার কূটনৈতিক আলোচনা সত্বেও গত কয়েক বছরে এর কোন সমাধান হয়নি। ফলে প্রতি বছর ইতালীতে সিজনাল ভিসায় কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক হাজার বাংলাদেশি।


জানা গেছে, ২০১৭ সালের সিজনাল ভিসায় আগতদের জন্য নতুন আইন হচ্ছে ইতালীতে। নতুন আইনে যে সব শ্রমিক ২০১৬ সালে ইতালীতে প্রবেশ করে নিজ দেশে ফেরত যায়নি তারা আর আগের মালিকের অধীনে কাজ করতে পারবে না এবং গত বছর ছয় মাসের চুক্তি শেষে যারা নিজ দেশে কেন ফেরত আসেনি তার ব্যাখ্যা দিতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে ।

উল্লেখ্য সিজনাল ভিসায় একজন শ্রমিক কৃষি, হোটল ও পর্যটন খাতে ছয় মাস ইতালীতে বৈধভাবে কাজ করতে পারেন। এরপর আইন ওই শ্রমিককে নিজ দেশে চলে আসতে হতো। এই নিয়ম পালন করে কোন শ্রমিক আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলে তিনবার পর পূর্ণাঙ্গ বৈধ হওয়ার সুযোগ পায়।

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...