বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নূরে আলমের স্ত্রী সুরভী আক্তার মনির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে মনির মামা মো. মামুন বাদী হয়ে অপমৃত্যুর মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সকালে মনির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এরআগে রোববার রাত ৮টার দিকে নগরীর কাশীপুর মদিনা সড়কের ভূঁইয়া বাড়ির মো. দিদারের দোতালা ভবনের একটি ভাড়া বাসা থেকে সুরভী আক্তার মনির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুরভীর খালা জানান, নূরে আলমের আগের একটি বিয়ে রয়েছে। ওই সংসারে তার ৩টি সন্তান। প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় সুরভীকে প্রেম করে বিয়ে করেন নূরে আলম। সুরভীরও আগের বিয়ে ছিল। ওই সংসারের স্বামীকে তালাক দিয়ে ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তানসহ নুরে আলমের সঙ্গে বছরখানেক আগে থেকে বসবাস শুরু করে সুরভী।
সুরভীর ভাই ও মামার দাবী, নূরে আলম-সুরভীর দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। বিয়ের পর যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই সুরভীর উপর নির্যাতন করতো স্বামী নূরে আলম। তাদের দাবি সুরভীকে নির্যাতনের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাঁজানো হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
তবে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন সুরভীর স্বামী এসআই নুরে আলম। তার ভাষ্য, মনি অত্যন্ত বদ মেজাজী। এর আগেও সে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে মনির মামা মো. মামুন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা প্রাথমিক অবস্থায় বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।