দক্ষিন আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভের পর ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দেশটির আরো বিভিন্ন শহরে এ ধরনের লুটপাট, দোকান ভাংচুর ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে বলে সোমবার রাতে পুলিশ এ খবর জানায়।
পুলিশ জানায়, প্রায় একশ লোকের একটি দল রাস্তায় দোকানপাটে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা অভিবাসন বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, সন্ত্রাসী কায়দায় এসব লোক দোকানে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। দোকানের আসববাবপত্রের ক্ষতি সাধন করে। খাবারের জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দেয় ও দরজা-জানালার কাচ ভাংচুর করে।
সোমালি একজন দোকানের মালিক জানান, কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই লোকজন আচমকা এসে দোকানে হামলা চালায়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি বলেন, কেন সাধারণ মানুষের উপর এ ধরনের হামলা ও দোকানপাটে লুটপাট চালানো হল তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এটুকু বলতে পারি আমরা এখন সেখানে বড় ধরনের ভীতিকর অবস্থায় আছি।
পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার ম্যাথাপপেলো পিটার্স জানান, আমরা এ ঘটনার পর দোষীদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রেখেছি এবং আমরা আশা করি এ ঘটনায় আরো অনেককে আমরা গ্রেফতার করতে পারবো। তিনি বলেন, আমরা জানি না কাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে আমরা আশা করবো যারা এ হামলার শিকার হয়েছেন, তারা যেন পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন এবং মামলা দায়ের করেন। একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে প্রিটোরিয়ায়ও। তবে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ এর বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপক চাঙ্গা হয়ে উঠে। এসময় অভিবাসন বিরোধীদের মোকাবিলায় পথে নামে বিরুদ্ধরাও। এতে করে সংঘর্ষে ব্যাপক আহতের ঘটনা ঘটে। অভিবাসন বিরোধীদের দাবি, নতুন অভিবাসীদের কারণে তারা চাকরি হারাচ্ছেন। কম মূল্যে বিদেশি শ্রমিক পাওয়ায় তাদেরকেই বেশি নেওয়া হচ্ছে। আর এতে করে সেদেশের নিজস্ব লোক বাদ পড়ে যাচ্ছে চাকরি থেকে। তাই সেখানে বেকারত্ব বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
শুধু তাই নয়,এদের কারণে সেখানে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মালুসি গিগাবার বিদেশিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,এটা সত্যিই অনভিপ্রেত। তবে এ ধরনের ঘটনা এর আগেও এখানে ঘটেছে। রয়টার্স।