পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঢাকা থেকে সিলেটগামী একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও পাঁচ বিদেশীসহ সাত আরোহী সামান্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সিলেট যাওয়ার পথে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের ওই হেলিকপ্টার ঢাকা থেকে ডেনমার্কের দুজন, কোরিয়ার দুজন ও ইতালির একজন নাগরিকসহ সাতজনকে নিয়ে সিলেটে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের একটি অনুষষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা হয়। পথিমধ্যে একটি বড় পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে হেলিকপ্টারের সামনের গ্লাস ভেঙ্গে আরোহীরা আহত হন।
বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গ্রামের প্রবীণ রবিউল আউয়াল জানান, বেলা তখন সকাল সাড়ে ১১টা হবে। হঠাৎ কপ্টারের প্রচণ্ড আওয়াজ ও বাতাস অনুভব করে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি দক্ষিণ দিক থেকে কপ্টারটি গাছগাছালির সামান্য ওপর দিয়ে সূতাকাটা ঢাউস ঘুড়ির মতো এদিক-ওদিক কাত হয়ে হয়ে উত্তর দিকে যাচ্ছিল।
এ সময় গ্রামের কৌতূহলী শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষও ঘর থেকে বের হয়ে আসে। কপ্টারটি কিছুদূর গিয়ে আবার ঘুরে খুব নিচ দিয়ে দক্ষিণে কয়েকশ' গজ এসে সদ্য তোলা সরিষা ক্ষেতে অবতরণ করে।
হেলিকপ্টারে থাকা ফার্স্ট এইড বক্স থেকে গজ ও ওষুধ বের করে সামান্য আহত বিদেশী নাগরিকরা নিজেরাই ক্ষতস্থানের চিকিৎসা করেন।
গৃহবধূ খোদেজা বেগম বলেন, 'আমি বাড়ির পাশের ফিশারির পাড়ে কাজ করছিলাম। তখনই আওয়াজ শুনতে শুনতে হঠাৎ দেখি হেলিকপ্টারটি দক্ষিণ থেকে উত্তরে গিয়ে আবার মুহূর্তের মধ্যে ঘুরে একটি জঙ্গল ও আমাদের ফিশারির ওপর দিয়ে পড়ি পড়ি অবস্থায় কোনো রকমে এসে ফিশারি সংলগ্ন সরিষা ক্ষেতে এসে পড়ে।'
কৃষক চাঁদবাদশা জানান, কপ্টারটি নামার সময় কোনো দুর্ঘটনা হয়নি, স্বাভাবিকভাবেই নামতে দেখি। নামার পর প্রত্যেক আরোহীর শরীর ঘামছিল এবং তাদের শরীর কাঁপছিল। পাইলটের সাহসিকতায় সব আরোহী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে। গ্রামের লোকজন পানি ও খাবারদাবার নিয়ে তাদের সহযোগিতায় এগিযে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ওসি পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে আরও দু'টি হেলিকপ্টার এসে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টার নিতে সহযোগিতা করে।
মঙ্গলবার সিলেট যাওয়ার পথে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের ওই হেলিকপ্টার ঢাকা থেকে ডেনমার্কের দুজন, কোরিয়ার দুজন ও ইতালির একজন নাগরিকসহ সাতজনকে নিয়ে সিলেটে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের একটি অনুষষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা হয়। পথিমধ্যে একটি বড় পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে হেলিকপ্টারের সামনের গ্লাস ভেঙ্গে আরোহীরা আহত হন।
বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গ্রামের প্রবীণ রবিউল আউয়াল জানান, বেলা তখন সকাল সাড়ে ১১টা হবে। হঠাৎ কপ্টারের প্রচণ্ড আওয়াজ ও বাতাস অনুভব করে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি দক্ষিণ দিক থেকে কপ্টারটি গাছগাছালির সামান্য ওপর দিয়ে সূতাকাটা ঢাউস ঘুড়ির মতো এদিক-ওদিক কাত হয়ে হয়ে উত্তর দিকে যাচ্ছিল।
এ সময় গ্রামের কৌতূহলী শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষও ঘর থেকে বের হয়ে আসে। কপ্টারটি কিছুদূর গিয়ে আবার ঘুরে খুব নিচ দিয়ে দক্ষিণে কয়েকশ' গজ এসে সদ্য তোলা সরিষা ক্ষেতে অবতরণ করে।
হেলিকপ্টারে থাকা ফার্স্ট এইড বক্স থেকে গজ ও ওষুধ বের করে সামান্য আহত বিদেশী নাগরিকরা নিজেরাই ক্ষতস্থানের চিকিৎসা করেন।
গৃহবধূ খোদেজা বেগম বলেন, 'আমি বাড়ির পাশের ফিশারির পাড়ে কাজ করছিলাম। তখনই আওয়াজ শুনতে শুনতে হঠাৎ দেখি হেলিকপ্টারটি দক্ষিণ থেকে উত্তরে গিয়ে আবার মুহূর্তের মধ্যে ঘুরে একটি জঙ্গল ও আমাদের ফিশারির ওপর দিয়ে পড়ি পড়ি অবস্থায় কোনো রকমে এসে ফিশারি সংলগ্ন সরিষা ক্ষেতে এসে পড়ে।'
কৃষক চাঁদবাদশা জানান, কপ্টারটি নামার সময় কোনো দুর্ঘটনা হয়নি, স্বাভাবিকভাবেই নামতে দেখি। নামার পর প্রত্যেক আরোহীর শরীর ঘামছিল এবং তাদের শরীর কাঁপছিল। পাইলটের সাহসিকতায় সব আরোহী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে। গ্রামের লোকজন পানি ও খাবারদাবার নিয়ে তাদের সহযোগিতায় এগিযে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ওসি পুলিশ নিয়ে ছুটে আসেন।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে আরও দু'টি হেলিকপ্টার এসে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টার নিতে সহযোগিতা করে।