পরিবহন ধর্মঘটের কারণে টাঙ্গাইলে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। একই কারণে রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের ওমান যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শত শত বাস সারিবদ্ধ করে রেখে দেয়া হয়েছে। বাসের টিকিট কাউন্টারে ভিড় থাকলেও টিকিট বিক্রি করার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি।
এসময় কথা হয় কালিহাতী উপজেলা সদরের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ওমান যাওয়ার ফ্লাইট। এজন্য কোনো বাস না পেয়ে কালিহাতী থেকে একটি ভ্যান ভাড়া করে টাঙ্গাইল এসেছি বাস পাওয়ার আসায়। কিন্তু এখানেও একই অবস্থায়। এখন দেখছি- আমার ওমান যাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।'
একই অবস্থা নিরালা সুপার সার্ভিস টিকিট কাউন্টারে। ঢাকা যাওয়ার জন্য সকাল থেকে বসে রয়েছেন আলমগীর হোসেন ও তার পরিবারের তিন সদস্যসহ অনেক যাত্রী। কখন ছাড়বে বাস এই আশায় সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টারে বসে রয়েছেন তারা।
আকস্মিক পরিবহন ধর্মঘটে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। একদিকে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা অন্যদিকে টয়লেটের অসুবিধা। বিশেষ করে নারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বাস-কোচ-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান লালজু বলেন, 'আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত স্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস বের করতে দেয়া হবে না।'
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-মানিকগঞ্জ মহসড়কে জোকা এলাকায় চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
এ রায়ের প্রতিবাদে রোববার সকাল ৬টা থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। এর পর মঙ্গলবার কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সারা দেশে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা।
