Skip to main content

বগুড়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় আটক ৯ যুবক ১১ যুবতী



দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অনেকটা প্রকাশ্যেই চলে আসছিলো অসামাজিক কার্যকলাপ। অবশেষে বগুড়া সদর উপজেলার শিবগঞ্জের মহাস্থান বাসষ্ট্যান্ড বন্দরে নুরজাহান অাবাসিক পার্ক নামক বোর্ডিংয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছেন শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০মার্চ) দুপুর ১টায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় জনতাকে বাইরে দাঁড়িয়ে উতফুল্ল কণ্ঠে শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

সুত্রমতে, আটক কয়েকজন যুবক-যুবতী স্থানীয় বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। তারা টাকার বিনিময়ে এখানে এসে নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে সময় কাটাতো।

অভিযানের সময় ওই বোর্ডিং এর ম্যানাজার মোজাফ্ফার রহমান সহ ৯ জন যুবক ও ১১-যুবতীকে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করে শিবগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

অভিযানের পর স্থানীয় ব্যবসায়ি করিম মিয়ার দোকানে আলাপকালে কলেজছাত্র রাকিব ও শিমুল সময়ের কণ্ঠস্বরকে  জানান, এই বোর্ডিং এ অবাধে যৌন ব্যবসার দরুন অনেক উঠতি বয়সের তরুন যুবক বিপথে চলে যাচ্ছিলো। নানা রকম অপরাধ সংঘঠিত হয়ে আসছিলো। স্থানীয় স্কুল- কলেজের মেয়েরাও বিভিন্ন ফাঁদে পড়ে এমনকি স্বেচ্ছায় বাড়তি টাকা উপার্জনের আশায় আসছিলো এখানে। আজকের এমন অভিযানকে তারা স্বাগত জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন, ভবিস্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত রাখার কথা।

এলাকাবাসী জানায়, ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় হযরত শাহ সুলতান এর মাযারের পবিত্রতা নষ্ট করে মাযারের সামনে অবস্থিত নুরজাহান অাবাসিক পার্ক বোর্ডিং এর অন্তরালে প্রতিদিন যৌন ব্যবসা চলতো। বোর্ডিং এর মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না।


পুলিশ অাজ সেখানে অভিযান চালিয়ে যৌনকর্মীসহ খদ্দের অাটক করায় এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ মাহমুদ খান এর সাথে কথা বললে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে সময়ের কণ্ঠস্বরকে  জানান, অাটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে। এবং মহাস্থান বাসষ্ট্যান্ড বন্দর নুরজাহান পার্ক প্লাজায় অপকর্ম রোধে তাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...