Skip to main content

দেহ ছিন্নভিন্ন হওয়ায় জঙ্গিদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না’

ছবি : প্রতিকী

মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় জঙ্গিদের সাত থেকে আটটি মৃতদেহ আছে উল্লেখ করলেও নিহত জঙ্গিদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। ওই জঙ্গি আস্তানায় গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে সিটিটিসি আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে (বৃহস্পতিবার বিকাল) আস্তানাটিতে প্রবেশ করা সম্ভব হয়। আস্তানার প্রবেশমুখে গ্রেনেডসহ শক্তিশালী বোমা ছড়ানো-ছিটানো ছিল। ভিতরে জঙ্গিদের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহগুলো বীভৎস অবস্থায় পড়ে ছিল।’
জঙ্গিরা কখন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা গিয়ে থাকতে পারে— এ প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) সোয়াট প্রথম অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর পর পালানোর পথ নেই দেখেই সম্ভবত জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সপরিবারে আত্মহনন করেছে। সে এক বীভৎস চিত্র। ধারণা করা হচ্ছে, সাত-আটটি ডেডবডি থাকতে পারে আস্তানায়।’
নিহতদের মধ্যে নারী-পুরুষের সংখ্যা জানতে চাইলে মনিরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে নিহতদের মধ্যে কয়জন পুরুষ ও কয়জন নারী, তা সঠিকভাবে বলা যাবে না। কারণ নিহত জঙ্গিদের শরীরগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্রাইম সিন সেখানে কাজ করছে। পরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ মিলিয়ে নিহত জঙ্গিদের সঠিক সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।’ জঙ্গিদের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহগুলোতে আস্তানায় বীভৎস দৃশ্য তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘ভেতরকার চিত্র আপনারা ধারণ করলেও তা প্রচার করতে পারবেন না। এতটাই বীভৎস সেই দৃশ্য।’
ব্রিফিংয়ের শুরুতে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ি দু’টি ঘেরাও করে। ঘেরাওয়ের পর ভেতর থেকে জঙ্গিরা গ্রেনেড বিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিটিটিসির সোয়াট টিম সবচেয়ে উপযুক্ত। তাই তাদের অনুরোধ করি এখানে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালানোর জন্য। আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েই ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার আসেন সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম। সোয়াট টিমকে তিনি সঙ্গে করেই এনেছিলেন।’

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...