মালয়েশিয়া প্রবাসী আলমগীরের ইচ্ছে ছিলো ছোট ভাইকে মালয়েশিয়ায় আনবে৷এতে হয়তো ছোট ভাই সুখে থাকবে। সেই ইচ্ছে একটা সময় স্বপ্ন হয়ে যায় ছোট ভাই আবুল কালামের৷ ছোট ভাইকে মালয়েশিয়ায় আনার জন্য আলমগীর দারস্থ হয় বাসেদ নামের এক বাংলাদেশীর৷মালয়েশিয়াতেই আলমগীরের পরিচয় হয় বাসেদের সাথে৷বাসেদ আবুল কালামকে মালয়েশিয়ায় এনে দেবে, চুক্তি হয় ২ লাখ ৭০ টাকার৷ মালয়েশিয়ায় আনার জন্য ২ মাস সময় নেয় বাসেদ। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। প্রায় এক বছরেও আবুল কালামকে মালয়েশিয়াতে আনতে পারেনি বাসেদ৷
আলমগীরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর বাসেদ আলমগীরকে ইসলামী ব্যাংকের নরসিংদী শাখার শাহনাজ পারভীন নামের একটি হিসাব নম্বর ও ঢাকায় ‘কে এম ইন্টারন্যাশনাল’ নামে নিজের অফিসের ঠিকানাতে পাসপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলে৷প্রথম ধাপে শাহনাজ পারভীনের হিসাব নম্বরে ২০ হাজার টাকা ও অফিসে পাসপোর্ট জমা দেয় আবুল কালাম৷তার কিছুদিন পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর আবার টাকা চায় বাসেদ৷ কথা মতো, ঐ একই ব্যাংক হিসাব নম্বরে আরও ২০ হাজার টাকা ও মালয়েশিয়ার একটি একাউন্টে ৩০০ (পাঁচ হাজা টাকা) রিঙ্গিত জমা দেয়।
এসব কাজে আবুল কালাম অফিসে আসা-যাওয়ার মধ্যে জানতে পারে যে, বাসেদ তার ছদ্মনাম। আসল নাম শফিকুল ইসলাম খোকন৷নরসিংদী জেলার রায়পুর থানায় তার বাড়ি৷ এরই মধ্যে তার ভিজিটিং কার্ড আসে প্রবাস কথা’র এই প্রতিবেদকের কাছে৷ভিজিটিং কার্ড দেখে বুঝা মুশকিল যে, সে কতগুলো ব্যবসার সাথে জড়িত। সেখানে বাংলাদেশ বিমানের লোগও দেয়া আছে৷মালয়েশিয়া প্রবাসী আলমগীর কাজের কোন অগ্রগতি না দেখে বুঝতে পারে যে, সে আসলে প্রতারকের খপ্পরে পড়েছে৷ আলমগীর প্রবাস কথা’কে বলে-
‘আমার ৪৫ হাজার টাকা গেছে তাতে আমার কষ্ট নেই। আমি বারবার শুধু পাসপোর্টটা ফেরত চেয়েও পাইনি৷এখনো আমার ভাইয়ের পাসপোর্ট তার অফিসেয় পড়ে আছে৷মাঝে মাঝে ফোন করি, মেসেজ দেই যে, ‘ভাই টাকার দরকার নাই, আপনি শুধু পাসপোর্টটা দিয়ে দেন।কোন সাড়া মেলে না।’
এ অভিযোগের ব্যাপারে মোবাইলে শফিকুল ইসলাম খোকনের সাথে কথা বলতে চাইলে, প্রবাস কথা’র পরিচয় জানার পর আর কথা বলতে রাজি হয়নি।
Comments
Post a Comment