Skip to main content

মালয়েশিয়ায় জাল কাগজপত্র তৈরির বিদেশী চক্র আটক; চক্রে বাংলাদেশীও আছে


মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।এরই ধারাবাহিকতায় কাগজপত্র জালকারী একটি বিদেশী চক্র আটক হয়েছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী জানিয়েছেন, ৮ জন বিদেশী নাগরিকের একটি চক্রকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশী, একজন পাকিস্তানি এবং একজন মায়ানমারের নাগরিক। কুয়ালালামপুরের জালান সিলাং এবং বুকিত জলিল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।তাদের বয়স ৩০ থেকে ৫০ এর মধ্যে।
ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক বলেছেন, এই চক্র বিভিন্ন ধরণের দাপ্তরিক কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, সাময়িক ওয়ার্ক পাস, ই-কার্ড, জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র নকল করে আসছিলো।
‘মাসখানেক ধরে তাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, তারা প্রায় ৩ বছর ধরে এ কাজ করছে। তারা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় বসবাস এবং কাজের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র তৈরি করে দেয়।’
এখানে ক্লিক করুন, লাইক দিন। প্রবাসের আনন্দ-বেদনা আর সংগ্রামের সব খবর পৌঁছে যাবে আপনার কাছে

মুস্তাফার আলী সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যেকটি কাগজের জন্য তারা ৫০০ থেকে ৩০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত নেয় এবং মাসে তাদের উপার্জন ৮০০০ থেকে ৯০০০ রিঙ্গিত।তারা যে নকল কাগজপত্র তৈরি করেছে তা দেখতে অবিকল আসলের মতো। কারণ, অনেক উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি এবং কৌশল ব্যবহার করে সেগুলো তৈরি করা হয়। এ প্রসঙ্গে মুস্তাফার আলী বলেন-
‘প্রথম দেখায় সবাই কাগজপত্রগুলোকে আসল মনে করবে।ধারণা করা হচ্ছে, এই চক্র হোয়াটসঅ্যাপ এবং উইচ্যাট ব্যবহার করে তাদের খদ্দেরদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে।কখনো কখনো তারা ইমেইলের মাধ্যমেও এটা করে।’
এই চক্রের নেতৃত্ব দেয় ৫০ বছর বয়সী মায়ানমারের নাগরিক যে ড. হারুন নামে পরিচিত।
‘আমাদের ধারণা তাকে ডক্টর বলার কারণ হলো বুকিত জলিলে তার নিজের এ্যাপার্টমেন্টে একটা ল্যাবরেটরী আছে যেখানে জাল কাগজপত্র তৈরির কাজ করা হয়।’
এই চক্রকে আটক করার সময় সেখান থেকে নগদ অর্থ, লেমিনেটিং মেশিন, প্রিন্টার, কিছু ল্যাপটপ, বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল স্ট্যাম্প এবং মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সিকিউরিটি স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...