ত্রাণের চাল পেতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডির কার্ড নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের আকিজা বেগমের।
মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পরিবারের ৯ সদস্যের জন্য ত্রাণের চাল পেতে একটি ভিজিডি কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেলচাপায় প্রাণ হারান তিনি।
আকিজা বেগম উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁও গ্রামের কৃষক সাহেব আলীর স্ত্রী।
জানা গেছে, বোরো ফসলহারা কৃষক পরিবারের মধ্যে সরকারি সহায়তার ভিজিডির ত্রাণের চাল পেতে ভিজিডি কার্ড সংগ্রহ করতে সকাল সকাল লাইনে দাঁড়ানোর জন্য শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে বানিয়াগাঁও থেকে রওয়ানা দেন আকিজা বেগম।
সকাল ৮টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে একই এলাকার শাহজাহানের ছেলে সাগরের বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসা মোটর সাইকেলটি আকিজাকে চাপা দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে।
খবর পেয়ে পরিবার ও এলাকার লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ট্রলারযোগে সকাল ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
তাকে উপজেলা সদর থেকে লেগুনাযোগে সিলেট নিয়ে আসার পথে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
আকিজার স্বামী সাহেব আলী যুগান্তরকে বলেন, মাটিয়াইন হাওরে আমার জমির সব ধান তলিয়ে গেছে। আগে কোনোদিন অভাবের মুখে পড়িনি।
গত দু’দিন ধরে আমার ঘরে একবেলা খাবারেরও চাল না থাকায় পরিবারের ৯ সদস্য নিয়ে উপোষে কাটিয়েছি।
সোমবার রাতেই আকিজা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণের চাল পেতে একটি ভিজিডির কার্ড আনতে যাওয়ার কথা বলছিল আমাকে।
লোক লজ্জার ভয়ে আমি যেতে অনিহা প্রকাশ করলে পরিবারের সবার কথা ভেবে সে নিজেই একটি ভিজিডি কার্ডের আশায় বাড়ি থেকে সকালে বের হয়ে গিয়ে লাশ হল!
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, নিহত আকিজা বেগমের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এবং মামলা হলে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...
Comments
Post a Comment