কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ছেলে জাকির হেসেন৷কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছিল ২০০৭ সালে৷ ফ্যাক্টরি শ্রমিক হিসেবেই প্রবাস জীবন শুরু করেছিলো মালয়েশিয়ারর জহুর প্রদেশর তামান আইরভিরু এলাকায়৷ প্রথম এসে যদিও অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাপ্লাই কোম্পানীতে, তবে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিয়েছিল সে৷ প্রায় ৪ বছর ঐ কোম্পনীতে কাজ করে। তারপর একটা সময় ঐ কোম্পানী থেকে পালিয়ে যায় জাকির৷বেশ কয়েক মাস নিখোঁজ থাকার পর, জাকির আবারো ফিরে আসে জহুর বারু এলাকায়৷কিন্তু ততদিনে তার ওয়ার্ক পারমিট (ভিসা)’র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। আর নতুন করে নবায়ন সম্ভব নয়।অবৈধ হওয়ায় কোম্পানী আর তাকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি৷এখানে সেখানে কিছুদিন কাজ করলেও, পরে একটা মোটরবাইক কিনে মোবাইল সিম কার্ড, কার্ড রিচার্জের ব্যবসা শুরু করে জাকির৷ সে ব্যবসা একটা সময় খুচরা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ে রূপ নেয়৷এভাবে বেশ কয়েক বছর পর, বর্তমানে চলতে থাকা রিহায়ারিং প্রোগ্রামের আওতায় ফিঙ্গার প্রিন্ট করে প্রতিষ্ঠানিকভাবে মুদিসহ মিনি মার্কেট চালু করে জাকির৷ গত ১২ জানুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে বন্ধুদের সাথে দেখা করার উদেশ্যে মোটরবাইক নিয়ে বের হয়ে দোকান থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে এসেই মর্মান্তির দূর্ঘটনার শিকার হয় জাকির৷প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, রাত প্রায় ১১ টার সময় রাস্তার মোড় ঘোরার সময় মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে৷ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় জহুরবারু সুলতান ইসমাইল হাসপাতালে নিয়ে যায় জাকিরকে৷মারাত্মক এ দূর্ঘটনায় জাকিরের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের সাথে সাথে ঘাড় ও কোমরের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল। রাতেই খবর পেয়ে জাকিরের দু:সম্পর্কের এক মামা হাসপাতালে হাজির হয়ে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার আহবান জানান৷ শুধু তাই নয়, শাহ জালাল তার ভাগ্নের চিকিৎসার সকল খরচ নিজেই বহন করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না৷বেশ কয়েকটা অপারেশন করার পরও কোন উন্নতি হয়নি। টানা ৮ দিন হাসপাতালের আইসিউ’তে থেকে গত ২১ জানুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যায় জাকির হোসেন। সর্বশেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত শাহ জালালের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ছেলে জাকির হেসেন৷কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছিল ২০০৭ সালে৷ ফ্যাক্টরি শ্রমিক হিসেবেই প্রবাস জীবন শুরু করেছিলো মালয়েশিয়ারর জহুর প্রদেশর তামান আইরভিরু এলাকায়৷ প্রথম এসে যদিও অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাপ্লাই কোম্পানীতে, তবে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিয়েছিল সে৷ প্রায় ৪ বছর ঐ কোম্পনীতে কাজ করে। তারপর একটা সময় ঐ কোম্পানী থেকে পালিয়ে যায় জাকির৷বেশ কয়েক মাস নিখোঁজ থাকার পর, জাকির আবারো ফিরে আসে জহুর বারু এলাকায়৷কিন্তু ততদিনে তার ওয়ার্ক পারমিট (ভিসা)’র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। আর নতুন করে নবায়ন সম্ভব নয়।অবৈধ হওয়ায় কোম্পানী আর তাকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি৷এখানে সেখানে কিছুদিন কাজ করলেও, পরে একটা মোটরবাইক কিনে মোবাইল সিম কার্ড, কার্ড রিচার্জের ব্যবসা শুরু করে জাকির৷ সে ব্যবসা একটা সময় খুচরা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ে রূপ নেয়৷এভাবে বেশ কয়েক বছর পর, বর্তমানে চলতে থাকা রিহায়ারিং প্রোগ্রামের আওতায় ফিঙ্গার প্রিন্ট করে প্রতিষ্ঠানিকভাবে মুদিসহ মিনি মার্কেট চালু করে জাকির৷ গত ১২ জানুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে বন্ধুদের সাথে দেখা করার উদেশ্যে মোটরবাইক নিয়ে বের হয়ে দোকান থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে এসেই মর্মান্তির দূর্ঘটনার শিকার হয় জাকির৷প্রতক্ষদর্শীরা জানায়, রাত প্রায় ১১ টার সময় রাস্তার মোড় ঘোরার সময় মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে৷ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় জহুরবারু সুলতান ইসমাইল হাসপাতালে নিয়ে যায় জাকিরকে৷মারাত্মক এ দূর্ঘটনায় জাকিরের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের সাথে সাথে ঘাড় ও কোমরের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল। রাতেই খবর পেয়ে জাকিরের দু:সম্পর্কের এক মামা হাসপাতালে হাজির হয়ে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার আহবান জানান৷ শুধু তাই নয়, শাহ জালাল তার ভাগ্নের চিকিৎসার সকল খরচ নিজেই বহন করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না৷বেশ কয়েকটা অপারেশন করার পরও কোন উন্নতি হয়নি। টানা ৮ দিন হাসপাতালের আইসিউ’তে থেকে গত ২১ জানুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যায় জাকির হোসেন। সর্বশেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত শাহ জালালের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
Comments
Post a Comment