সৎ শ্বশুরের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করায় স্ত্রীকে তালাক দিযেছেন স্বামী। স্ত্রীর জন্মদিনে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো এসএমএসের মাধ্যমে তালাকের ঘোষণা দেয়া হয়।
এমন ঘটনা ঘটেছে হায়দরাবাদের বেগমপেটে। খবর আনন্দবাজারের।
ওই মহিলার নাম সুমাইনা শরফি। ২০১৫-এ তার সঙ্গে বিয়ে হয় বেগমপেটের বাসিন্দা ওয়াইস তালিবের। বিয়ের পর প্রায় এক মাস স্বামীর সঙ্গে দুবাইতে ছিলেন সুমাইনা। এর পর তাকে হায়দরাবাদে শ্বশুরবাড়িতে রেখে দুবাইতে ফিরে যান তার স্বামী।
এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তার উপর অত্যাচার শুরু হয়। তাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করানো হত। এমনকী ঠিকমতো খেতেও দেয়া হত না। আর এ সব কিছুর পিছনে তার স্বামীর অভিভাবিকা হিম্মত খাতুন ওরফে আম্মাজান ছিলেন বলে সুমাইনা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এই হিম্মত খাতুনই মাইনার সঙ্গে ওয়াইসের বিয়ের মূল উদ্যোক্তা। কিছু দিন এভাবে চলার পর এক দিন হিম্মত খাতুন, তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সুমাইনাকে শারীরিক সম্পর্কে গিয়ে তার সন্তানের সারোগেট মা হতে বলেন।
সুমাইনা এই গোটা ঘটনাটি তার স্বামীকে জানালে আম্মাজান যা বলছেন তা মেনে নিতে বলেন। কিন্তু রাজি হননি সুমাইনা। একটা ঘরে প্রায় ৬ দিন ধরে তাকে আটকে রেখে চলে অত্যাচার। তার পর তাকে বাড়ি থেকে বার করে দেয়া হয়। বাবার সঙ্গে তিনি ফিরে যান লাল্লাগুড়া এলাকায়, নিজের বাড়িতে। সব কিছু মিটিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
সুমাইনার আরও অভিযোগ, কিছু দিন বাদে তার জন্মদিনে স্বামী তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে তালাক দেন। আর সেই মেসেজের শেষে লেখা ছিল, ‘এই নে তোর জন্মদিনের উপহার।’
তিনি পুলিশকে জানান, তার স্বামী তাঁর বোনকে কয়েক মাস ধরে দুবাইয়ে বন্দি করে রেখেছেন। প্রশাসনের কাছে সুমাইনার অনুরোধ, যেন তার বোনকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করেন তারা। তিনি হায়দরাবাদের সনতনগর থানায় তার স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং হিম্মত খাতুন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবম ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...
Comments
Post a Comment