জোয়ারের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঢেউ ও স্রোতের কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা তীর রক্ষা অস্থায়ী বেড়িবাঁধ ধসে পড়েছে। এতে জোয়ারের পানি ঢুকে ডুবে গেছে চররমনি মোহন ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের কয়েক শতাধিক বাড়িঘর। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি। এর ফলে বাঁধটি নির্মাণে পুনরায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
গেল কয়েক মাস আগে ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাব ও পরবর্তী টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা তীরবর্তী প্রায় ৩শ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বেড়িবাঁধ রক্ষায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ শ মিটার রাস্তা পুনরায় মেরামত কাজ শুরু করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সাধারণ মানুষের জানমাল ও ফসলি জমি রক্ষার্থে গত ১৫ দিন থেকে অস্থায়ীভাবে প্রতিরক্ষামূলক বাঁধের বেশ কিছু অংশে কাজ করেন তারা। কিন্তু পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঢেউ ও স্রোতের কারণে ১০ দিনের মাথায় এরইমধ্যে ধসে পড়েছে অস্থায়ী ওই বাঁধটি।
বাঁধ ভেঙে বসতঘরে পানি ঢোকায় বিপাকে স্থানীয় হতদরিদ্র কয়েকশ পরিবার। নির্দিষ্ট স্থানে ঠাঁই না পেয়ে গবাদি পশু ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বেড়ির পাশে থাকা অনেকে। এসব এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে জোয়ারে পানি ঢুকে আবার ভাটায় নেমে যায়। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধটি মেরামত করে স্থায়ী সমাধান চান তারা।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ইয়ার আলী বোর্ড বলেন, ‘কাজটি করার জন্য সর্বচ্চো চেষ্টা চালিয়েছি। অস্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দ দিয়ে বাঁধের সিংহভাগ ইতোমধ্যে করা হয়েছে। কিন্তু নদীতে প্রবল ঢেউ ও স্রোত এবং টানা বৃষ্টির কারণে বাঁধের কাজে সমস্যা হচ্ছে। যেটুকু করা হয়েছে সেটিও ছিঁড়ে গেছে।’ লোকবল বাড়িয়ে বাঁধের কাজ দ্রুত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
Comments
Post a Comment