Skip to main content

নাসার নভোচরদের বেতন জানলে আকাশ থেকেও পড়তে পারেন!



মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সম্পর্কে কিছু খুঁজতে গেলে সবার প্রথমে নাসার ওয়েবসাইট খুলে যায়। সেই ওয়েবসাইটে ঢুকলে যেন এক আশ্চর্য জগত খুলে যায়। গোটা আকাশটাই যেন আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসে।

প্রতিবছর হাজার হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ে মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কাজ করার জন্য। গত বছরে যেমন ১৮ হাজার ৩০০টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১২ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া কীভাবে চলে তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।

কীভাবে প্রার্থী বাছাই হয়
নাসার নভোচর হতে গেলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা গণিতে স্নাতক হতে হবে। স্নাতকোত্তর অথবা ১ হাজার ঘণ্টা ফ্লাইং জেটে ওড়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। নভোচর হতে গেলে লিডারশিপ স্কিল থাকতে হবে। দলের অনুগত হতে হবে ও কমিউনিকেশন স্কিল ভালো হতে হবে।

নভোচরদের ফিট থাকতে হবে
নভোচরদের শারীরিকভাবে অত্যন্ত ফিট থাকতে হবে। তাদের ভালো চোখের দৃষ্টি হতে হবে। উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি থেকে ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির মধ্যে হতে হবে। রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে হবে। রক্তচাপ ৯০/১৪০ এর বেশি হলে হবে না। প্রথমে টেস্ট ও পরে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নভোচরদের বেছে নেওয়া হয়।

নভোচরের ট্রেনিং
নভোরদের দুই বছরের ট্রেনিং পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের প্রশিক্ষণে কোনো ছুটি নেই। নিরন্তর কাজ করে যেতে হয়। সাঁতার থেকে শুরু করে জিরো গ্র্যাভিটিতে কীভাবে থাকতে হবে সে সবই এখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবং এগুলো করতে হয় স্পেস স্যুট পরে।

রাশিয়ান ভাষা জানতে হয়
যে দেশের নাগরিকই হোন না কেন, নভোচরদের রাশিয়ান ভাষা জানতে হয়। কারণ নভোচরদের রুশ ভাষায় কথা বলতে হয়। কারণ মহাকাশের রুশকসমস স্পেস এজেন্সি মহাকাশে যাওয়া ও ফিরে আসায় নাসাকে সাহায্য করে।

নভোচরদের রোজগার
স্পেস এজেন্সিতে নবাগত নভোচররা ভারতীয় মুদ্রায় বছরে ৫৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মধ্যে বেতন পান। কে কত বেতন পাবেন তা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। ঘটনা হলো নাসায় কাজ করা প্রতিদিনই একটি অভিজ্ঞতার মতো। মনে হবে যেন নিজের স্বপ্নকে কেউ কাছ থেকে অনুভব করছে। আর নাসায় কাজ করা মানেই ইতিহাস তৈরি করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎকে নির্ধারণ করা যায়। এমনটাই বলছে নাসা। 

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...