Skip to main content

পেটের সমস্যায় মহৌষধি আনারস


চলছে আনারসের মৌসুম। বাজারে গেলেই এখন যে সুস্বাদু ফলটি চোখে পড়ে তা হলো আনারস। অনেকেই এ সুস্বাদু রসালো ফলটি খেতে ভালোবাসেন। অনেকেই হয়তো আনারসের এ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন না।
তবে আনারস শুধু যে খেতেই সুস্বাদু তা কিন্তু নয় এর রয়েছে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ।
এই ফলটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজম শক্তি বাড়ায়, প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে, ঠাণ্ডা লাগা এবং কাশি কমাতেও সাহায্য করে।
এখানেই শেষ নয় অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আনারসের দারুণ ভূমিকা রয়েছে।
তাহলে জেনে নিন আনারসের কিছু গুণাবলী সম্পর্কে।  
পেটের সমস্যায় মহৌষধি: আনারস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডাইরিয়াসহ নানা ধরনের পেটের সমস্যা তো কমেই, সেইসঙ্গে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসাতেও আনারস ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটি খাবার হজম করতে এবং বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
সর্দি কাশিতেও দারুণ কাজ দেয়: আনারসের মধ্যে ব্রোমেলিন নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা বুকে সর্দি জমতে দেয় না। একইসঙ্গে সাইনাসের সমস্যাও রোধ করে।
দাঁতের যত্নে আনারস: দাঁতের যত্নে আনারসের তুলনা হয় না। এই ফলটি মাড়ি এবং দাঁতের গোঁড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়া আনারস চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা মেটাতে, মাংসপেশি শক্ত করতে, এমনকি ত্বক টানটান রাখতেও সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: একটি আনারস খেলে তা আমাদের শরীরে দৈনিক ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড এর চাহিদার ১৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। ভিটামিন সি শ্বেত রক্ত কণিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে নানারকম জীবাণুতো প্রতিরোধ করেই একইসঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে থাকে।
বাতের সমস্যা কমায়: আনারস বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। বাতের ব্যথায় মাংসপেশি এবং হাঁটু, কনুই এইসব অংশগুলি ফুলে যায়। আনারসের মধ্যে এক ধরনের প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক থাকে যা ব্রোমেলিন নামে পরিচিত। এই ব্রোমেলিনই আমাদের শরীরে বাতের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।


News credit : RTV

Comments

Popular posts from this blog

প্রধানমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে নকল ৭৫২ আইডি বন্ধ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খোলা ৭৫২টি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ মোট ১৩৩২টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। গত কয়েকদিনে এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। এনটিএমসির দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত বছরের ১৯ আগস্ট দৈনিক যোগফলের সম্পাদক আসাদুল্লাহ বাদল একটি পর্যবেক্ষণ মূলক প্রতিবেদন লিখে প্রকাশ করেছিলেন যোগফলে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেক নেতাকর্মীরাও এসব নকল আইডিতে দেওয়া পোস্ট শেয়ার করতেন। এনটিএমসি জানিয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিলের উদ্দেশে দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংস্থার নামে ভুয়া আইডি ও পেজ খুলে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারবর্গের নামে ভুয়া আইডি/ পেজ খুলে মিথ্যা ও মানহানিকর প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশ ও বিদেশে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্নের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। ফেসবুকে গুজব ও অপপ্রচার রোধে ন্যাশনাল টেলিকমিউন...

কোন যাত্রীর বিমানে মাঝ-আকাশে মৃত্যু হলে কী করা হয় দেখুন?

প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? মাঝ-আকাশে মৃত্যু কারোরই কাঙ্ক্ষিত নয়। কিন্তু সেই ঝুলন্ত প্রবাসে দৈবের বশে যদি কারো জীবতারা খসে পড়ে, তার জন্য তাঁকে তো আর দোষ দেওয়া যাবে না! প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? কী পদক্ষেপ করেন বিমান কর্মীরা? বেশ কিছু বিমানের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে একটা দেহ তার কোনও এক জায়গায় শুইয়ে রাখা যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমানটি অবতরণ করছে, ততক্ষণ এভাবেই রেখে দেওয়া হয় মৃতদেহ। এই ব্যাপারটা সহযাত্রীদের কাছে মোটেই সহনীয় নয়। তাই বেশ কিছু বিমান  ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের বেশ কিছু বিমানে শবদেহ রাখার জন্য বিশেষ লকারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অন্য বিমানে যতটা পারা যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখা হয় মৃতদেহকে। কিন্তু মাঝ-আকাশে বিমান কর্মীরা কী করেন কারোর আকস্মিক মৃত্যুতে? কেউ অসুস্থ হয়ে ...

কি হয় বাঁ হাতের তালু চুলকালে?

সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে। ডান হাতের তালু চুলকালে অর্থ আয় হয়। আর বাম হাতের তালু চুলকালে খরচ বাড়ে। তবে একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু এমন সংস্কারের পিছনে কি আদৌ কোনও যুক্তি কাজ করে? দেশীয় সংস্কার বলে, বাঁ হাত চুলকানোর অর্থ লক্ষ্মী ছেড়ে যাওয়া। এমন ক্ষেত্রে হঠাৎ অর্থনাশ, চুরি, ডাকাতি অথবা অন্য কোনও ক্ষেত্রে বিপুল খরচ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করে এই সংস্কার। আবার অন্যদিকে ডান হাত চুলকালে ধরে নেওয়া হয় লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা। হঠাৎ অর্থাগম, কোনও দূর আত্মীয়ের সূত্রে সম্পত্তিলাভ, নিজেরই লুকিয়ে রাখা এবং পরে ভুলে যাওয়া টাকা হাতে আসা ইত্যাদি যা খুশি ঘটতে পারে বলে মনে করা হয়।-ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। সংস্কার অনুসারে উপরের বক্তব্য কেবল পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। সেখানে ডান হাত চুলকালে অর্থহানি আর বাম হাতে অর্থলাভের কথা বলা হয়। কিন্তু একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র। এই মত অনুসারে, হাতের পাতা চুলকানোর অর্থ দেহে শক্তির সংবহন। বাঁ হাত আমাদের দেহের একটি অপ্রত্যক্ষ অঙ্গ। এক্ষেত্রে যদি অর্থব্যয় হয়, তা হলে তাক...