Skip to main content

সামাজিক মাধ্যমে যা করবেন না






বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমের ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এগুলোর মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত নিজের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করে থাকি। কিন্তু যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আমাদের এসব আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করার বিষয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর এসব নেতিবাচক দিক এড়াতে আমাদের কিছু সতর্কতা বজায় রাখা দরকার। জেনে নিই তেমন কিছু বিষয়।

#পাসওয়ার্ড শেয়ার না করা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর পাসওয়ার্ড কখনোই  কারো কাছে প্রকাশ করা উচিত না।এতে আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যেমন অরক্ষিত হতে পারে, তেমনি দুর্বৃত্তদের কুনজরও পরতে পারে।তাই যারা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের এসব নিয়মনীতি জেনে রাখা উচিত।

#জন্মতারিখ ও জন্মস্থান গোপন রাখা

আপনার জন্ম তারিখ ও জন্মস্থানের মতো ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ফেসবুকে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জানা সহজ হয়। সাইবার দুর্বৃত্তদের কুনজর থেকে বাঁচতে একটু সতর্কতা আপনাকে একধাপ এগিয়ে রাখবে।

#সাংসারিক সমস্যা নিয়ে পোস্ট

আপনার স্ত্রী কিংবা ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়নের বিষয়গুলো কখনোই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করবেন না। কেননা আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ না থাকারই কথা। তবে আপনি যদি বিশিষ্ট কেউ হন তবে আলাদা কথা। সেক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যম নানা ধরনের গুজব সৃষ্টি হতে পারে। হতে পারে গণমাধ্যমে রিপোর্টও। ফলে আপনি সামাজিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সেজন্য সাংসারিক এসব বিষয়ের সমাধানের জন্য কাছের কোনো বন্ধু বা পরিবারের কারো সঙ্গে আলাপ করতে পারেন।

#সুনির্দিষ্টভাবে অবস্থান জানানো

পোস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে নিজের সুনির্দিষ্ট অবস্থানের কথা জানানো অনেকের অভ্যাস। কিন্তু আপনার নিরাপত্তার জন্যই তা থেকে বিরত থাকা উচিত। নিজের অবস্থানের কথা সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়ে অনেকেই শিকারির সহজ টার্গেটে পরিণত হন। বিশেষ করে আপনি যখন প্রত্যন্ত এলাকা কিংবা একান্ত একাকী থাকেন অথবা বাসা খালি রেখে কোথাও বের হন তখন ভুলেও সামাজিক মাধ্যমে জানাবেন না।

#বিতর্কিত ছবি পোস্ট

বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে কাটানো একটি শালীন ছবি আপনি পোস্ট করতেই পারেন। কিন্তু মদ, গাজা, ড্রাগ সেবনরত কিংবা সাধারণত অশালীন মনে করা হয় এমন ছবি ভুলেও পোস্ট করবেন না। কারণ এটা শুধু নিজেকেই নয়, আপনার পরিবারকেও বিব্রত করতে পারে। এসব ছবি আপনার চাকরিদাতার নজরেও আসতে পারে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখেও পড়তে পারে।
বস বা সহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
আপনি যদি চাকরিজীবী হন তাহলে ভুলেও নিজের বস, চাকরি বা সহকর্মীর ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে নেতিবাচক কোনো কথা বলা উচিত না। এমনকি কর্মক্ষেত্রে আপনার মানসিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে পোস্ট দেয়া থেকেও বিরত থাকুন। এগুলো আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কেননা আপনার বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কোনো চাকরিদাতা এসব দেখলে বিষয়টিকে সহজভাবে না ও নিতে পারেন।

#ধন-সম্পদের প্রদর্শনী

ধরুন আপনি একটি গাড়ি কিনলেন। অথবা ফার্নিচার, গহনা কিংবা ল্যাপটপ। সব কিছু সামাজিক মাধ্যমে বলার দরকার নেই। এমনকি আপনার সম্প্রতি অর্জিত ধনসম্পদের ছবিও নয়। কারণ এটা আপনার বাড়িতে সিঁদেল চোর, ডাকাত বা দুর্বৃত্তকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে।

News credit RTV

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...