পাবনায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালীতে পুলিশের আকষ্মিক বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেলের ঘটনায় পুলিশের সাথে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিএনপি ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুর একটায় জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি র্যালী বের করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পুলিশ তাদের র্যালী করতে বাধা দেয়। পরে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে র্যালী করতে গেলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। কিছু সময় ধরে চলা সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা, দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান জাফির তুহিন সহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও বুলেট নিক্ষেপ করে। তিনি জানান, ৪১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করে। ওসি দাবি করেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ইট পাটকেলে ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নুর মাসুম বগা বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ন র্যালী বের করতে বাধা দেয় পুলিশ। কোনো কারণ ছাড়াই জেলা বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠন মিছিল, র্যালী বের করতে চাইলেই পুলিশ বারবার বাধা দেয়। নেতাকর্মীরা র্যালী করার চেষ্টা করলে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালানো ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
Comments
Post a Comment