Skip to main content

বিতর্কে জড়িয়ে সাব্বিরের ক্ষতি কোটি টাকা!

এবার এক কিশোরকে পেটানোকে কেন্দ্র করে বড় শাস্তি হয়েছে সাব্বিরের, যাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা ও বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়াসহ ঘোষণা এসেছে ২০ লাখ টাকা জরিমানার।



ইতিপূর্বেই বিভিন্ন কারণে সাব্বিরের জরিমানা হয়েছিল। সেই অঙ্কের পরিমাণের সাথে সদ্য পাওয়া শাস্তির ক্ষতি যোগ করলে দাঁড়াচ্ছে, উদ্ধত আচরণের কারণে সব মিলিয়ে কোটি টাকার মতো ক্ষতি হবে তারকা এই ক্রিকেটারের!
২০১৬ সালের বিপিএলে স্পর্শকাতর এক অভিযোগে ১২ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছিল সাব্বিরের। সর্বশেষ বিপিএলে আম্পায়ারকে গালি দিয়ে ম্যাচ ফি’র ৪০ শতাংশ হিসেবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা গুনেছেন। বিপিএলে কুকর্মের দায়ে এই সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানার সাথে সদ্য পাওয়া ২০ লাখ টাকা জরিমানা যোগ করলে দাঁড়াচ্ছে সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা।
এ তো ছিল শুধু জরিমানার হিসাব; নিষেধাজ্ঞা ও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার হিসেব কষতে হলে ক্ষতির অঙ্কটা হবে প্রায় তিনগুণ! ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞায় সাব্বির খেলতে পারবেন না বিসিএল এবং ডিপিএলে। বিসিএলে ৬ ম্যাচ খেললে সাব্বির পেতেন ২ লাখ টাকা। ডিপিএলে এক মৌসুম খেলেই ৪০ লাখের মতো আয় করতেন। এই ৪২ লাখের সাথে সাব্বিরকে হারাতে হচ্ছে আরও ২৪ লাখ টাকাও, যা পেতেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকার সুবাদে!
সব মিলিয়ে সাব্বিরের আর্থিক লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে সাড়ে ৯৯ লাখ টাকা, যা প্রায় এক কোটি টাকাই। বিরাট অঙ্কের এই অর্থ গচ্চা যাওয়া নিঃসন্দেহে যে কারও জন্যই শোকের। এই আর্থিক ক্ষতির কথা চিন্তা করেও যদি এবার নিজেকে একটু শুধরান সাব্বির!

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...