Skip to main content

সাকিবকে ‘মুক্ত’ করে দিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স


আইপিএলে সাকিব আল হাসান মানেই যেন কলকাতা নাইট রাইডার্স। একে তো পশ্চিমবঙ্গের দল, যাদের সাথে বাংলাদেশের মিল অনেক; সেই সাথে সাকিব আবার সেই দলের ক্রিকেটার। আইপিএল দেখা বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি সমর্থকের প্রিয় দল ছিল তাই কলকাতা নাইট রাইডার্স।


বাংলাদেশিদের কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রতি আরেকটা কারণ ছিল- আইপিএলের মতো হেভিওয়েট টুর্নামেন্টে নিয়মিত প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন কেবল সাকিবই, আর সেই সাকিব যে দলের সমর্থক সেই দলের প্রতিই তো থাকবে সমর্থকদের সমর্থন। তবে এবার কলকাতার সেই সমর্থনে কিছুটা ভাঁটা দেখা দিতে পারে। কেননা দীর্ঘদিনের সেনানী সাকিব আল হাসানকে যে ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা!

ছেড়ে দেওয়ায় অবশ্য সাকিবের আইপিএলে খেলা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। বরং আবার সেই কলকাতার জার্সি গায়েই দেখা যেতে পারে সাকিবকে! তবে সাকিবকে কার্যত ‘মুক্তি’ দিয়েছে কেকেআর। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি আসর শেষে পরের আসরের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক খেলোয়াড় দলে ধরে রাখা যায়। গত সাত বছর ধরে সাকিবকে নিজেদের ডেরায় ধরে রেখেছিল বলিউড তারকা শাহরুখ খানের দল। তবে এবার আর সেই পথে হাঁটছে না আইপিএলের অন্যতম সফল দলটি। সাকিবকে এবার তারা ছেড়ে দিচ্ছে নিলামের টেবিলে। আর সেখানেই নির্ধারিত হবে সাকিবের এবারের আইপিএলের দল।

বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে পেতে অন্য দলগুলো যে মরিয়া থাকবে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। সাকিব কলকাতায় খেলা অবস্থায়ও তার দিকে দৃষ্টি রেখেছিল অন্য দলগুলো। যদিও কলকাতা সাকিবকে নিলামের জন্য না ছাড়ায় দল পাল্টানোর সুযোগই পাননি বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক।

আগামী ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আগামী আইপিএলের নিলাম। এই নিলামের জন্য সম্প্রতি ৮ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম বিসিসিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছে বিসিবি। সেখানে আছে সাকিবের নামও, আর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে তিনিই আছেন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কড়া নজরে।

Comments

Popular posts from this blog

প্রধানমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে নকল ৭৫২ আইডি বন্ধ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খোলা ৭৫২টি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ মোট ১৩৩২টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। গত কয়েকদিনে এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। এনটিএমসির দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত বছরের ১৯ আগস্ট দৈনিক যোগফলের সম্পাদক আসাদুল্লাহ বাদল একটি পর্যবেক্ষণ মূলক প্রতিবেদন লিখে প্রকাশ করেছিলেন যোগফলে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেক নেতাকর্মীরাও এসব নকল আইডিতে দেওয়া পোস্ট শেয়ার করতেন। এনটিএমসি জানিয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিলের উদ্দেশে দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংস্থার নামে ভুয়া আইডি ও পেজ খুলে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারবর্গের নামে ভুয়া আইডি/ পেজ খুলে মিথ্যা ও মানহানিকর প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশ ও বিদেশে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্নের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। ফেসবুকে গুজব ও অপপ্রচার রোধে ন্যাশনাল টেলিকমিউন...

কোন যাত্রীর বিমানে মাঝ-আকাশে মৃত্যু হলে কী করা হয় দেখুন?

প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? মাঝ-আকাশে মৃত্যু কারোরই কাঙ্ক্ষিত নয়। কিন্তু সেই ঝুলন্ত প্রবাসে দৈবের বশে যদি কারো জীবতারা খসে পড়ে, তার জন্য তাঁকে তো আর দোষ দেওয়া যাবে না! প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? কী পদক্ষেপ করেন বিমান কর্মীরা? বেশ কিছু বিমানের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে একটা দেহ তার কোনও এক জায়গায় শুইয়ে রাখা যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমানটি অবতরণ করছে, ততক্ষণ এভাবেই রেখে দেওয়া হয় মৃতদেহ। এই ব্যাপারটা সহযাত্রীদের কাছে মোটেই সহনীয় নয়। তাই বেশ কিছু বিমান  ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের বেশ কিছু বিমানে শবদেহ রাখার জন্য বিশেষ লকারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অন্য বিমানে যতটা পারা যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখা হয় মৃতদেহকে। কিন্তু মাঝ-আকাশে বিমান কর্মীরা কী করেন কারোর আকস্মিক মৃত্যুতে? কেউ অসুস্থ হয়ে ...

কি হয় বাঁ হাতের তালু চুলকালে?

সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে। ডান হাতের তালু চুলকালে অর্থ আয় হয়। আর বাম হাতের তালু চুলকালে খরচ বাড়ে। তবে একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু এমন সংস্কারের পিছনে কি আদৌ কোনও যুক্তি কাজ করে? দেশীয় সংস্কার বলে, বাঁ হাত চুলকানোর অর্থ লক্ষ্মী ছেড়ে যাওয়া। এমন ক্ষেত্রে হঠাৎ অর্থনাশ, চুরি, ডাকাতি অথবা অন্য কোনও ক্ষেত্রে বিপুল খরচ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করে এই সংস্কার। আবার অন্যদিকে ডান হাত চুলকালে ধরে নেওয়া হয় লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা। হঠাৎ অর্থাগম, কোনও দূর আত্মীয়ের সূত্রে সম্পত্তিলাভ, নিজেরই লুকিয়ে রাখা এবং পরে ভুলে যাওয়া টাকা হাতে আসা ইত্যাদি যা খুশি ঘটতে পারে বলে মনে করা হয়।-ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। সংস্কার অনুসারে উপরের বক্তব্য কেবল পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। সেখানে ডান হাত চুলকালে অর্থহানি আর বাম হাতে অর্থলাভের কথা বলা হয়। কিন্তু একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র। এই মত অনুসারে, হাতের পাতা চুলকানোর অর্থ দেহে শক্তির সংবহন। বাঁ হাত আমাদের দেহের একটি অপ্রত্যক্ষ অঙ্গ। এক্ষেত্রে যদি অর্থব্যয় হয়, তা হলে তাক...