Skip to main content

কাদেরকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার বিস্ফোরক মন্তব্য, সমালোচনার ঝড়



আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রভাষক ও জেলা ছাত্রলীগের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জমির জামির।

সোমবার (০৪ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ওই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জমিরের কড়া সমালোচনা করছেন।

ফেসবুক পোস্টে ছাত্রলীগের এই নেতা লিখেছেন, ‘জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি যে দলের জন্যে কাউয়া সেটা আবার প্রমাণ করলেন। আপনার কাছে জোট সরকারের আমলের নির্যাতিত তৃণমূলের নেতা একরামুল হকের মূল্যায়ন থাকবে না সেটা আমরা আগেই অবগত হয়েছি। আপনার কাছে তৃণমূলের নেতা একরামের চেয়ে অনুপ্রবেশকারী বাবা বদি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘যখন আপনি কক্সবাজার এসেছিলেন, বদিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন— তুমি আর নমিনেশন পাচ্ছো না। আবার যখন আপনি টেকনাফে গেলেন এবং ইয়াবার টাকার বান্ডিল পেয়েছেন, তখন বললেন— বদি হচ্ছে আগামী নির্বাচনে টেকনাফ উখিয়ার নৌকার মাঝি।’

জমির জামিরের ভাষ্যে, ‘একমুখে দু’কথা যে বলে সে হচ্ছে সুসময়ের কাউয়া। আপনার মত কাউয়ার কারণে দলে নিবেদিত প্রাণ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের প্রতিনিয়ত আমরা হারাচ্ছি।’

এদিকে জমির জামিরের এই স্ট্যাটাসের কড়া সমালোচনা করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের আমাদের অভিভাবক সংগঠন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জমির জামি, তা সংগঠনবিরোধী কাজ।’

জয় আরো বলেন, ‘জমির জামি ইতোমধ্যে স্বেচ্ছায় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি এখন যুবলীগের রাজনীতি করছেন।’

তবে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমেদ বাহাদুর বলেন, ‘জমির জামি যুবলীগের কোনো পদে নেই। তবে মাঝেমধ্যে তাকে সংগঠনের কর্মসূচিতে দেখা যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘জমির জামিরের স্ট্যাটাসটি খুবই কুরুচিপূর্ণ। নিজ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যকারী তার মতো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে রাখা দরকার। আশা করছি, কেন্দ্রীয় সংগঠন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘কাউয়া’ শব্দটি জনপ্রিয় করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গেল বছরের মার্চে সিলেটে বিভাগীয় তৃণমূল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন যে, সংগঠনে ‘কাউয়া’ (কাক) ঢুকছে।

মূলত কাউয়া বলতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত, বিভিন্ন বাম দল এবং জাতীয় পার্টি থেকে দলে এসে দীর্ঘ দশ বছরে তাদের বিপুল অর্থ ভাণ্ডার তৈরি করেছেন তাদের বুঝে থাকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

Comments

Popular posts from this blog

প্রধানমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে নকল ৭৫২ আইডি বন্ধ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খোলা ৭৫২টি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টসহ মোট ১৩৩২টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। গত কয়েকদিনে এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। এনটিএমসির দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গত বছরের ১৯ আগস্ট দৈনিক যোগফলের সম্পাদক আসাদুল্লাহ বাদল একটি পর্যবেক্ষণ মূলক প্রতিবেদন লিখে প্রকাশ করেছিলেন যোগফলে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেক নেতাকর্মীরাও এসব নকল আইডিতে দেওয়া পোস্ট শেয়ার করতেন। এনটিএমসি জানিয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব সৃষ্টি ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিলের উদ্দেশে দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংস্থার নামে ভুয়া আইডি ও পেজ খুলে ক্রমাগত অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারবর্গের নামে ভুয়া আইডি/ পেজ খুলে মিথ্যা ও মানহানিকর প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশ ও বিদেশে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্নের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। ফেসবুকে গুজব ও অপপ্রচার রোধে ন্যাশনাল টেলিকমিউন...

কোন যাত্রীর বিমানে মাঝ-আকাশে মৃত্যু হলে কী করা হয় দেখুন?

প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? মাঝ-আকাশে মৃত্যু কারোরই কাঙ্ক্ষিত নয়। কিন্তু সেই ঝুলন্ত প্রবাসে দৈবের বশে যদি কারো জীবতারা খসে পড়ে, তার জন্য তাঁকে তো আর দোষ দেওয়া যাবে না! প্রতি বছর পৃথিবীতে ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ বিমান সফর করেন। এর মধ্যে দু’একজনের মৃত্যু মাঝ-আকাশে ঘটতেই পারে। সেই সম্ভাবনার কথা কি মাথায় রাখে বিমান সংস্থাগুলো? কী পদক্ষেপ করেন বিমান কর্মীরা? বেশ কিছু বিমানের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে একটা দেহ তার কোনও এক জায়গায় শুইয়ে রাখা যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমানটি অবতরণ করছে, ততক্ষণ এভাবেই রেখে দেওয়া হয় মৃতদেহ। এই ব্যাপারটা সহযাত্রীদের কাছে মোটেই সহনীয় নয়। তাই বেশ কিছু বিমান  ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের বেশ কিছু বিমানে শবদেহ রাখার জন্য বিশেষ লকারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অন্য বিমানে যতটা পারা যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখা হয় মৃতদেহকে। কিন্তু মাঝ-আকাশে বিমান কর্মীরা কী করেন কারোর আকস্মিক মৃত্যুতে? কেউ অসুস্থ হয়ে ...

কি হয় বাঁ হাতের তালু চুলকালে?

সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে। ডান হাতের তালু চুলকালে অর্থ আয় হয়। আর বাম হাতের তালু চুলকালে খরচ বাড়ে। তবে একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু এমন সংস্কারের পিছনে কি আদৌ কোনও যুক্তি কাজ করে? দেশীয় সংস্কার বলে, বাঁ হাত চুলকানোর অর্থ লক্ষ্মী ছেড়ে যাওয়া। এমন ক্ষেত্রে হঠাৎ অর্থনাশ, চুরি, ডাকাতি অথবা অন্য কোনও ক্ষেত্রে বিপুল খরচ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করে এই সংস্কার। আবার অন্যদিকে ডান হাত চুলকালে ধরে নেওয়া হয় লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা। হঠাৎ অর্থাগম, কোনও দূর আত্মীয়ের সূত্রে সম্পত্তিলাভ, নিজেরই লুকিয়ে রাখা এবং পরে ভুলে যাওয়া টাকা হাতে আসা ইত্যাদি যা খুশি ঘটতে পারে বলে মনে করা হয়।-ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। সংস্কার অনুসারে উপরের বক্তব্য কেবল পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। সেখানে ডান হাত চুলকালে অর্থহানি আর বাম হাতে অর্থলাভের কথা বলা হয়। কিন্তু একেবারেই অন্য কথা জানায় ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র। এই মত অনুসারে, হাতের পাতা চুলকানোর অর্থ দেহে শক্তির সংবহন। বাঁ হাত আমাদের দেহের একটি অপ্রত্যক্ষ অঙ্গ। এক্ষেত্রে যদি অর্থব্যয় হয়, তা হলে তাক...