Skip to main content

ঈদ ‘ইত্যাদি’ প্রসঙ্গে যা বললেন বিদেশিরা

নন্দিত নির্মাতা-উপস্থাপক হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ প্রায় দুই যুগ ধরে বিদেশি নাগরিকদের দিয়ে দেশের লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে তুলে ধরছে।


শুরুর দিকে বিষয়টি ১০/১২ জন বিদেশির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে কখনও কখনও শতকের ঘরেও পৌঁছে। এই বিদেশিদের দিয়ে তাদের মাতৃভাষার বদলে বাংলা ভাষায় গ্রামের সহজ সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করিয়ে তুলে ধরা হয় দেশের লোকজ সংস্কৃতি। ইত্যাদি’র চরিত্রানুযায়ী বিদেশিদের দিয়ে করানো নানান ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটে চমৎকার একটি মেসেজের মাধ্যমে। বিদেশিরা মনে করেন এটি তাদের জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা এবং আনন্দ। পাশাপাশি একটি শিক্ষণীয় বিষয় উপস্থাপন।
প্রতিবছর দর্শকরা যেমন এই পর্বটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন, তেমনি ঢাকায় বসবাসরত বিদেশিরাও অপেক্ষা করতে থাকেন কখন তাদের ডাক পড়বে ‘ইত্যাদি’ থেকে।
সেই ধারাবাহিকতায় ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন পৃথিবীর নানান দেশের প্রায় ৫০ জন বিদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছেন ২৫ জন এবং বাকিরা অভিনয়ে। এবারের বিষয় ‘পারিবারিক শান্তি’।
হানিফ সংকেতের নির্দেশনায় অল্প ক’দিনের মহড়ায় বাংলায় বিভিন্ন সংলাপ আয়ত্ত করে এই বিদেশিরা এবারও চমৎকার অভিনয় করেছেন।
হানিফ সংকেত বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিনের পরিচয়ে কয়েকদিনের মেলামেশায় বিদেশিদের সাথে যে আত্মিক বন্ধন হয় তা কখনোই ভোলার নয়।’
পর্তুগালের নাগরিক জন ভ্যান রিজন বলেন, ‘ইত্যাদির শুটিংয়ে এসে মনে হয় পিকনিকে এসেছি। ভালো লাগে হানিফ সংকেতের সমাজ সচেতনতামূলক কাজ।’ ডাচ নাগরিক ইরিন বলেন, ‘আমি অনেকের কাছে ইত্যাদির গল্প শুনেছি এবং এখানে না এলে আমি অনেক কিছু মিস করতাম। শুটিংয়ের পুরো দিনটাই আনন্দে কেটেছে।’
ব্রিটিশ নাগরিক ক্রেইগ বলেন, ‘ইত্যাদি টিম খুবই ভালো, অর্গানাইজড। আমি ইত্যাদিকে ভালোবাসি। এই নিয়ে তিনবার অংশ নিলাম।’
আমেরিকান নাগরিক স্কট বলেন, ‘সুযোগ হলে আগামী বছরও ইত্যাদি’তে অংশ নেওয়ার জন্যই বাংলাদেশে আসবো।’ স্পেনের নাগরিক রোসা বোরাজো বলেন, ‘অনেক গরম তারপরও ইত্যাদি’র কাজ করতে কোনও ক্লান্তি আসে না।’ ইংল্যান্ডের নাগরিক ক্যাথরিন ডিকসন বলেন, ‘হানিফ সংকেতের সাথে কাজ করলে বোঝা যায়- যে কোনওদিন অভিনয় করেনি, তাকেও শিল্পী বানানো সম্ভব। তার প্রমাণ আমরা।’
বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে হানিফ সংকেত বলেন, ‘এরা অপেশাদার তবে অনেক পেশাদার শিল্পীরও এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে ওদের সময়জ্ঞান, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ। যেহেতু দর্শকরা এই পর্বটি অনেক পছন্দ করেন, তাই আমরাও অনেক যত্ন নিয়ে এই পর্বটি করতে চেষ্টা করি। আশাকরি প্রতিবারের মতো এবারও এই পর্বটি দর্শকদের অনেক আনন্দ দেবে।’
‘ইত্যাদি’ প্রচার হবে ঈদের পরদিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে। হানিফ সংকেতের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ‘ইত্যাদি’ নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কস্মেটিকস্ লিমিটেড।

Comments

Popular posts from this blog

ফরেইনারদের ব্যাপারে হোম আফেয়ার্স থেকে আদেশ

ফরেইনারদের ব্যাপারে হোম আফেয়ার্স থেকে আদেশ জারী হয়েছে। দোকানে দোকানে তল্লাশী হবে। কাগজ ছাড়া পেলেই ধরে ফেলবে। কারো দোকান, অফিস আদালতে কাগজ ছাড়া লোক পেলে কোনো অজুহাত শোনা হবেনা, দোকানদারকে বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে গ্রেফতার করা হবে।

মধ্যরাতে কণ্ঠশিল্পী আসিফ গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। রাত দুইটার দিকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন। তার করা একটি মামলাতেই গ্রেপ্তার হন আসিফ। জানা যায়, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে শফিক তুহিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি আগামিকাল(বুধবার) কথা বলবেন বলে জানান। এ বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছেে। মামলায় আসিফ আকবর ছাড়াও আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামির নাম রয়েছে। আসিফকে শিগগির আদালতে সোপর্দ করা হবে।

দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকায় অ‌ভিবা‌সী বি‌রোধী সমা‌বেশ

নুৃরুল আলম, দক্ষিণ আফ্রিকা: দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকায় অ‌ভিবাসী বি‌রোধী সমা‌বে‌শের ডাক দি‌য়ে‌ছে প্রি‌টো‌রিয়ার ‘মা‌মে‌লো‌ডি স‌চেতন নাগ‌রিক’। অ‌বৈধ অ‌ভিবাসী‌দের দেশ‌ থে‌কে বের ক‌রে দেয়ার দা‌বি‌তে আগা‌মি ২৪ ফেব্রুয়া‌রি শুক্রবার এ সমা‌বে‌শের ডাক দি‌য়ে‌ছে সংগঠন‌টি। স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সি‌টি হ‌লে সমা‌বেশ‌টি হ‌বে। সমাবেশে স্থানীয় আফ্রিকানদের অংশগ্রহণ বাড়াতে গত  একমাস ধরে তারা লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। ওই লিফলেটে বলা হয়েছে, এই সমাবেশ হচ্ছে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এবং ওই সকল কোম্পানী ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যারা জিম্বাবুয়েসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের চাকরীর ব্যবস্থা করেছে। যেখানে চাকরী করার কথা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকানদের। ওই লিফলেটে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন ক্যাশ এন্ড ক্যারি,  নানদোস, কেএফসি, স্পার, শপরাইটসহ বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে জিম্বাবুয়েসহ  (পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া) বিভিন্ন দেশের নাগরিক। স্থানীয়রা মনে করে, বিদেশী নাগরিকরা তাদের চাকরী কেড়ে নিয়েছে। ফলে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে,  নাইজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তানসহ আরো বিভিন্...