কুষ্টিয়ায় ‘বিক্রি’ হওয়া সাত দিনের শিশু ফাতেমাকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে মা জেসমিনের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেসমিনের আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। পরে উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়ানের পাইকপাড়া এলাকার রবিউলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে বিয়ে করেন। দু’জনের ঘরে পর পর তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেন উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম। দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) আজগর হোসেন জানান, দুই পরিবার সামাজিকভাবেই তাদের তালাকের বিষয়টি মিটমাট করে। গত ১৬ নভেম্বর এক সালিশি বৈঠকে স্ত্রীকে তালাক ও সাত দিনের শিশু কন্যা ফাতেমাকে বিক্রির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। একই সময় মাত্র সাত দিনের কন্যা শিশুকে নিয়ে বিক্রি করে দেন তিনি। এমন সংবাদ জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে শিশুটিকে না পাওয়ায় রবিউলের পরিবারকে চাপ দেয় পুলিশ। তাকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে থানায় হাজির করেন রবিউল ইসলাম ও তার পরিবার। এরপর শিশুটিকে তার মা মা জেসমিনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে রবিউলের পরিবারের দাবি, শিশুটিকে বিক্রি করা হয়নি। তালাকের পর তার মা এত ছোট বাচ্চাকে সঙ্গে নিতে না চাইলে তাকে রবিউলের এক বোনের কাছে দেয়া হয় দেখভাল করার জন্য।
তবে থানায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি জেসমিন। তিনি বলেন, স্বামী জোর করে আমার কোল থেকে বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিল। শিশুটিকে ফিরে পেয়ে আমি খুশি।
Comments
Post a Comment