Skip to main content

ফখরুলকে কেন পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী?



আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই রাজনীতিতে যারা সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী তাদেরকে পছন্দ করেন। কেবল দলের মধ্যেই নয়, দলের বাইরেও যারা সুস্থ রাজনীতির চর্চা করেন তাদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহভাজন, আস্থাভাজন ও পছন্দের বলে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতেন তখন তাঁর অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রয়াত সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ। সে সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি ফরহাদের উপদেশ ও পরামর্শ নিতেন বলে জানা যায়। ফরহাদের মৃত্যুর পরও কমিউনিস্ট পার্টির অনেক নেতার সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক ছিলো বলে জানা যায়।
এক সময় বঙ্গবন্ধু বিরোধী রাজনীতি করা জাসদ, আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনাকারী ওয়ার্কার্স পার্টিকেও তিনি জোটের মধ্যে ফিরিয়ে নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে তিনি অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বেশ সহানুভূতিশীল। বিশেষ করে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক গ্রেপ্তারের আদেশ জারি হচ্ছিল, তখনও সহানুভূতি দেখান প্রধানমন্ত্রী। তাকে সর্বশেষ যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তাকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছিলো বলে অনেক রাজনৈতিক মহল মনে করে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের সময় তিনি মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
গতকাল সেনাকুঞ্জে যখন মির্জা ফখরুল অবস্থান করছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ও বিভিন্ন মহলের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত করার পরে নিজ প্যান্ডেলে মির্জা ফখরুলকে ডেকে নেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা বলছে, যারা সুস্থ ধারার ও সৎ রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাদের স্নেহ করেন। তিনি চান না যে সবাই আওয়ামী লীগ করুক । রাজনীতিতে যেন সব সময় সুস্থ ধারা বেড়ে ওঠে এটাই প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্খা। এজন্য যারা সুস্থ রাজনীতির চর্চা করেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
বাংলা ইনসাইডার

Comments

Popular posts from this blog

ফরেইনারদের ব্যাপারে হোম আফেয়ার্স থেকে আদেশ

ফরেইনারদের ব্যাপারে হোম আফেয়ার্স থেকে আদেশ জারী হয়েছে। দোকানে দোকানে তল্লাশী হবে। কাগজ ছাড়া পেলেই ধরে ফেলবে। কারো দোকান, অফিস আদালতে কাগজ ছাড়া লোক পেলে কোনো অজুহাত শোনা হবেনা, দোকানদারকে বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে গ্রেফতার করা হবে।

মধ্যরাতে কণ্ঠশিল্পী আসিফ গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। রাত দুইটার দিকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিন। তার করা একটি মামলাতেই গ্রেপ্তার হন আসিফ। জানা যায়, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে শফিক তুহিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি আগামিকাল(বুধবার) কথা বলবেন বলে জানান। এ বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছেে। মামলায় আসিফ আকবর ছাড়াও আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামির নাম রয়েছে। আসিফকে শিগগির আদালতে সোপর্দ করা হবে।

দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকায় অ‌ভিবা‌সী বি‌রোধী সমা‌বেশ

নুৃরুল আলম, দক্ষিণ আফ্রিকা: দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকায় অ‌ভিবাসী বি‌রোধী সমা‌বে‌শের ডাক দি‌য়ে‌ছে প্রি‌টো‌রিয়ার ‘মা‌মে‌লো‌ডি স‌চেতন নাগ‌রিক’। অ‌বৈধ অ‌ভিবাসী‌দের দেশ‌ থে‌কে বের ক‌রে দেয়ার দা‌বি‌তে আগা‌মি ২৪ ফেব্রুয়া‌রি শুক্রবার এ সমা‌বে‌শের ডাক দি‌য়ে‌ছে সংগঠন‌টি। স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সি‌টি হ‌লে সমা‌বেশ‌টি হ‌বে। সমাবেশে স্থানীয় আফ্রিকানদের অংশগ্রহণ বাড়াতে গত  একমাস ধরে তারা লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। ওই লিফলেটে বলা হয়েছে, এই সমাবেশ হচ্ছে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এবং ওই সকল কোম্পানী ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যারা জিম্বাবুয়েসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের চাকরীর ব্যবস্থা করেছে। যেখানে চাকরী করার কথা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকানদের। ওই লিফলেটে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন ক্যাশ এন্ড ক্যারি,  নানদোস, কেএফসি, স্পার, শপরাইটসহ বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে জিম্বাবুয়েসহ  (পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া) বিভিন্ন দেশের নাগরিক। স্থানীয়রা মনে করে, বিদেশী নাগরিকরা তাদের চাকরী কেড়ে নিয়েছে। ফলে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে,  নাইজেরিয়া, জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তানসহ আরো বিভিন্...