- দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার ৭৮৭ উড়োজাহাজটির নাম হংসবলাকা
- উড়োজাহাজটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ১০ ডিসেম্বর থেকে
- টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ২য় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার
- দ্বিতীয় ড্রিমলাইনারের ওজন ২৯টি হাতির ওজনের সমান
বিজয়ের মাসে দেশে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি-সংবলিত নতুন দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। ১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিমানটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এর মধ্যে দিয়ে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫টি। গত ১৯ আগস্ট বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার আকাশবীণা ঢাকায় আসে। দ্বিতীয় ড্রিমলাইনারটির নাম হংসবলাকা।
আজ রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ড্রিমলাইনার আকাশে উড়বে। ওই দিন থেকে ২৭১ আসনের ড্রিমলাইনারে ঢাকা-লন্ডন রুটে সপ্তাহে ৬টি, ঢাকা-দাম্মাম রুটে সপ্তাহে ৪টি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ২৯ নভেম্বর ড্রিমলাইনারের মালিকানা হস্তান্তর করবে। ৩০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে উড়োজাহাজ। বিজি-২১১২ ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরের পেনফিল্ড এয়ারপোর্ট থেকে টানা সাড়ে ১৫ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় আসবে।
বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারী বলেন, টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার। এ উড়োজাহাজ চালাতে অন্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে।
ড্রিমলাইনারের ওজন ২৯টি হাতির সমান
ড্রিমলাইনার ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম। উড়োজাহাজের শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে। বিমানটি নিয়ন্ত্রিত হবে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় বিমান ওজনে হালকা। ভূমি থেকে বিমানটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান! এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।
ড্রিমলাইনারের ওজন ২৯টি হাতির সমান
ড্রিমলাইনার ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে সক্ষম। উড়োজাহাজের শব্দ কমাতে ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত রয়েছে। বিমানটি নিয়ন্ত্রিত হবে ইলেকট্রিক ফ্লাইট সিস্টেমে। কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হওয়ায় বিমান ওজনে হালকা। ভূমি থেকে বিমানটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। এর মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম, যা ২৯টি হাতির সমান! এর ককপিট থেকে টেল (লেজ) পর্যন্ত ২৩ লাখ যন্ত্রাংশ রয়েছে।
ড্রিমলাইনারে ২৭১টির মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাসের। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন। দু’দুপাশের প্রত্যেক আসনের পাশে রয়েছে বড় আকারের জানালা। একই সঙ্গে জানালার শাটার বন্ধ করাও খোলা যাবে বোতাম টিপে। জানালা থেকে শুরু করে কেবিনেও রয়েছে মুড লাইট সিস্টেম। ফলে যাত্রীরা সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন লাইটিং মুড। দীর্ঘ ভ্রমণে যাত্রীরা যেন ক্লান্তি অনুভব না করেন, সে জন্য এয়ার কম্প্রেসর সিস্টেম অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় উন্নত।
সব সময় ওয়াইফাই সুবিধা, স্ক্রিনে থ্রিডি ম্যাপ
ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট (আইএফই) সেবা দিতে প্যানাসনিক এভিওনিকস করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিমান। প্রতিটি আসনের সামনে প্যানাসনিকের এলইডিএস-মনিটর রয়েছে। মনিটরে বিবিসি, সিএনএনসহ ৯টি টিভি চ্যানেল দেখা যাবে। ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমে থাকবে ১০০টির বেশি ক্ল্যাসিক থেকে ব্লকবাস্টার ছবি। বিমানের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত গেমসও আছে। ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা থাকলে আকাশে উড্ডয়নের সময় কল করতে পারবেন যাত্রীরা। এ জন্য ২৫টি স্যাটেলাইটের সঙ্গে করা হয়েছে চুক্তি। উড়োজাহাজটি যে স্থানের ওপর দিয়ে যাবে, যাত্রীদের সামনে তখন স্ক্রিনে দেখা যাবে থ্রি-ডি ম্যাপ। একই সঙ্গে উঠে আসবে সেই স্থানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান কেনার জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতিমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি ৭৩৭-৮০০ এবং ১টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। বাকি তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এর মধ্যে দ্বিতীয়টি বিমান বহরে যুক্ত হবে ১ ডিসেম্বর, ২০১৮। চারটি ড্রিমলাইনারসহ সব উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট (আইএফই) সেবা দিতে প্যানাসনিক এভিওনিকস করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিমান। প্রতিটি আসনের সামনে প্যানাসনিকের এলইডিএস-মনিটর রয়েছে। মনিটরে বিবিসি, সিএনএনসহ ৯টি টিভি চ্যানেল দেখা যাবে। ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমে থাকবে ১০০টির বেশি ক্ল্যাসিক থেকে ব্লকবাস্টার ছবি। বিমানের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত গেমসও আছে। ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা থাকলে আকাশে উড্ডয়নের সময় কল করতে পারবেন যাত্রীরা। এ জন্য ২৫টি স্যাটেলাইটের সঙ্গে করা হয়েছে চুক্তি। উড়োজাহাজটি যে স্থানের ওপর দিয়ে যাবে, যাত্রীদের সামনে তখন স্ক্রিনে দেখা যাবে থ্রি-ডি ম্যাপ। একই সঙ্গে উঠে আসবে সেই স্থানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান কেনার জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতিমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি ৭৩৭-৮০০ এবং ১টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। বাকি তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এর মধ্যে দ্বিতীয়টি বিমান বহরে যুক্ত হবে ১ ডিসেম্বর, ২০১৮। চারটি ড্রিমলাইনারসহ সব উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment