Skip to main content

ডাল কেন খাবেন?


প্রোটিনের দারুন উৎস হচ্ছে ডাল। এটা এমন একটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যা সবার জন্যই উপকারী। এছাড়া এতে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় নিয়মিত ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।প্রায় সব ধরনের ডালেই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুণ রয়েছে।যেমন- 

মসুর ডাল : আমাদের দেশে এটি সবচেয়ে পরিচিত এবং সহজ প্রাপ্য ডাল। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, আয়রন, ফাইবার এবং ভিটামিন বি ওয়ান রয়েছে। এটি কোলেস্টেরল কমায়। সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে শক্তি বাড়াতেও এই ডালের জুড়ি নেই।

মুগ ডাল : এই ডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ সারাতে কাজ করে। এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। 

ছোলার ডাল : কাঁচা ছোলা শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এতে আমিষ ও প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। ছোলা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ছোলায় থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তচাপ কমায়। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন বি স্নায়ুর দুর্বলতা, মেরুদণ্ডের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

অড়হর ডাল : এই ডালে ডায়েটারি ফাইবার আর ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি নারীদের জন্য খুব উপকারী।এটি হজমশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। 

মাষকলাইয়ের ডাল : এতে শতকরা ২০ ভাগ আমিষ থাকে। এছাড়া এটি প্রোটিণ ও ভিটামিন বি’য়ের দারুন উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, শরীর সক্রিয় রাখে। ফাইবারের ভাল উৎস হওয়ায় এটি কোষ্টকাঠিন্য সারায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে মাষকলাইয়ের ডাল। সূত্র : এনডিটিভি, নিউজ এইট্টিন

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...