Skip to main content

‘আমরা সাকিব হতে চাই, জঙ্গি না’




চট্টগ্রাম: সবার হাতে ফেস্টুন। তাতে কোথাও লেখা-আমরা তামিম ইকবাল হতে চাই, আমরা মাশরাফি হতে চাই। আবার কোথাও লেখা আমরা সাকিব হতে চাই, জঙ্গি হতে চাই না। ব্যানারে লেখা, ‘আমরাও সুইমিং পুল চাই, তবে খেলার মাঠ নষ্ট করে নয়।’ নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণের বিপক্ষে লেখা এসব ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে বুধবার (২৬ এপ্রিল) ‍দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছিল শ’দুয়েক শিক্ষার্থী। তারা নগরীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আয়োজকদের একজন হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাফায়েত ফাহিমের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজুর রহমান, ইস্পাহানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নিশান, আজিমুল হুদা, মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ইমাম হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে কিংবা কোনো সংগঠনের ইন্ধনে মানববন্ধন করতে আসিনি। আমরা আউটার স্টেডিয়ামে নিয়মিত খেলাধূলা করি। কিন্তু মাঠের একপাশে সুইমিং পুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমাদের খেলায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। তারা বলেন, ‘চট্টগ্রামে আউটার স্টেডিয়ামের মতো উন্মুক্ত মাঠ আর নেই-যেখানে সর্বস্তরের শিশু-কিশোররা খেলাধূলা করতে পারে। আমরাও সুইমিং পুল চাই। কিন্তু খেলার মাঠ নষ্ট করে নয়। আমরা চাই অন্য কোথাও সুইমিং পুল করা হোক।’ তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সুইমিং পুল নির্মাণের জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছেন এজন্য তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো-আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল না করে অন্য কোথাও সুইমিং পুল করার জন্য যেন তিনি উদ্যোগ নেন।’ এর আগে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন। পরে মানববন্ধনে যোগ দেন তারা।

Comments

Popular posts from this blog

আল হাসসা শহরের অলৌকিক পাথর

আল হাসসা, ২৬ এপ্রিল- শূন্যে ভাসে এমন পাথরের ছবি বা ভিডিও আমরা অনেকে দেখেছি। যার মধ্যে কিছু কিছু ছবি দেখেছি এডিট করা। সত্য-মিথ্যা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে লোকমুখে শোনা যায়, সৌদি আরবের আল হাসসা শহরের লাইলি-মজনুর পাহাড় বলে পরিচিত স্থানে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দু’টি পাথর। এটি এমন পাথর যা কি না শূন্যে ভাসে- মাটি থেকে সামান্য উপরে। তবে এ পাথরের সত্যতা জানতে গিয়ে নানাজনের কাছে নানারকম তথ্য পাওয়া যায়। কারো কারো মতে, একজন মুজাহিদকে নিষ্ঠুরভাবে ওই পাথরের উপর গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আর সেই ঘটনাটি ছিল এপ্রিল মাসের দিকে। আর তারপরই প্রতিবছর এপ্রিল মাসের নির্দিষ্ট দিনে পাথরটি আধাঘণ্টা মাটির উপর ভাসমান অবস্থায় থাকে। এর চেয়েও অবাক করা বিষয় হলো, যখন পাথরটি শূন্যে ভেসে ওঠে; তখন পাথরটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত তাজা দেখায়। এমনকী তা উজ্জ্বল হয়ে গাঢ় বর্ণ ধারণ করে থাকে। পাথরে লেগে থাকা এই রক্ত স্থানীয়রা অনেকবার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও পাথরের গায়ে রক্ত দেখা যায়। (তবে আমি তেমন কোনো রক্ত দেখিনি) অন্যরা বলেন, ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক ...

সেহরির মেন্যুতে শিশা, ইফতারির পরই শিশার ধোঁয়াই অন্ধকার রেস্টুরেন্ট!

রাত সাড়ে ৮টা, বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের কে ব্লকের ৯নং ভবনের ‘আত্তিন’ নামের একটি এরাবিয়ান রেস্টুরেন্টে। ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল নিচতলার কক্ষগুলো ধোঁয়ায় অন্ধকার। ১৮-৩০ বছর বয়সী নারী পুরুষরা আয়েশিভাবে পায়ে পা তুলে আওয়াজ করে পান করছেন শিশা। কেউ দেখলে বিশ্বাসই করবেন না কিছুক্ষণ আগেই এখানে শেষ হয়েছে প্রথম রোজার ইফতারের আয়োজন। ইফতার শেষে খাবারের ডিশগুলো তখনো পুরোপুরি সরিয়ে ফেলতে পারেননি রেস্টুরেন্টটির কর্মীরা। এরই মধ্য বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি তরুণ-তরুণী টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট ও জুস রেখে বসে গেছেন শিশার আসরে। এরাবিয়ান এই রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকতেই এগিয়ে আসেন আনিসুর রহমান নামের এক কর্মী। তার কাছে সেহরির মেন্যু চাইলে তিনি জানান, ‘স্যার, মেন্যু নেই, শেষ হয়ে গেছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমাদের এখানে যেসব খাবার পাওয়া যায়, সেহরির সময় সেগুলোই মিলবে। তবে ১২০০ টাকার একটি মেন্যু আছে, তাতে শিশার সঙ্গে স্যান্ডউইচ ও সফটড্রিংকস পাওয়া যাবে।’ রমজানে সেহরির সময় শিশার মেন্যু কেন জানতে চাইলে আনিসুর বলেন, ‘আসলে সেহরির জন্য এই মেন্যু না। এখানে শিশা সব সময়ই পাওয়া যায়। যারা সেহরির সময় শিশা সেবনের জন...

১৫ মার্চ বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

ঢাকা: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে আহূত হরতালে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, জলকামান ও গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এর মধ্যে ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও বাসদ-সিপিবির আহবানে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগরীতে ৬-১২টা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়। ভোর ৬টায় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার হরতালের মিছিল প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্টের কদম ফোয়ারাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে। সমাবেশের শুরুতেই আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ। কর্মসূচির মাঝে রয়েছে ১-১৫ মার্চ বিক্ষোভ পক্ষ এবং ১৫ মার্চ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্...